ঢাকা: রাজধানীতে স্বামীদের সঙ্গে পারিবারিক কলহ ও অভিমান থেকে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—কারিনা (২২) ও রুনা আক্তার মিম (২৫)।
শুক্রবার রাতে ঢাকার কদমতলী ও কলাবাগান এলাকায় এই দুইটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশদুটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কদমতলীতে গলায় ফাঁস দেন কারিনা
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌসী আক্তার জানান, কারিনার বাবার নাম ইকবাল হোসেন। তার বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। কারিনা স্বামী শহীদুল ইসলামের সঙ্গে কদমতলীর হাজী লাল মিয়া সরদার রোডের একটি ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় বসবাস করতেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কলাবাগানে আত্মহত্যা করেন রুনা আক্তার মিম
অন্যদিকে, কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার কুন্ডু জানান, রুনা আক্তার মিমের গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। তার বাবার নাম মৃত আসাদ সরকার এবং স্বামীর নাম সজীব রহমান। স্বামীর সঙ্গে কলহের পর তিনি কলাবাগানের আল আমিন রোডের একটি ভবনের ৪র্থ তলায় মায়ের বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে।
মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা
এই ধরনের ঘটনা সমাজে পারিবারিক সহিংসতা ও মানসিক চাপের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক কলহের ফলে মানসিক বিপর্যয় দেখা দিলে তা মোকাবিলায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি, সম্মান ও বোঝাপড়া বাড়ানো এবং কাউন্সেলিং সুবিধা সহজলভ্য করা—এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply